বাংলাদেশে এক সপ্তাহের ভেতর পর পর দুজন বিদেশি নাগরিকের হত্যাকান্ডে বিএনপি-জামায়াতের মদত আছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মন্তব্য করেছেন, তাকে সম্পূর্ণ অমূলক বলে নাকচ করে দিয়েছে বিএনপি।
দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অগ্রদৃষ্টিকে বলেছেন, ‘সরকারের ওপর মহল থেকে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্যই এই সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত কখনও হয় না। তদন্তে পক্ষপাত বা বায়াস চলে আসে।’
মি আলমগীর ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই নাজুক, তার ওপর ‘গণতান্ত্রিক স্পেস’ বলেও কিছু আর অবশিষ্ট নেই – সে কারণেই এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে।’
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যেভাবে বিএনপি-জামাতের নাম এক সঙ্গে নিয়ে অভিযোগটা উত্থাপন করেছেন, সেটাকেও ভালোভাবে দেখছে না বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায়, ‘বিএনপি ও জামাতকে এক সঙ্গে ব্র্যাকেট করারও কোনও কারণ নেই। কারণ আমরা দুটো সম্পূর্ণ আলাদা রাজনৈতিক দল।’
বিএনপি তাদের শাসনামলে এই ধরনের হত্যাকান্ড কখনও প্রশ্রয় দেয়নি – বরং প্রতিটি ঘটনার যথাযথ বিচার করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে এই দুটি হত্যাকান্ড নিয়ে বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড: আবদুল মঈন খান যে মন্তব্য করেছেন, সেটাকে তাঁর ‘ব্যক্তিগত মতামত’ বলেই বর্ণনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি নেতা মঈন খান এর আগে এই দুটি হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘সরকার যে সাম্প্রদায়িকতার জুজু-র ভয় দেখাচ্ছে, এখন তারা নিজেরাই তার শিকারে পরিণত হয়েছে।’
কিন্তু মি আলমগীর অগ্রদৃষ্টির কাছে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা মনে করেন বাংলাদেশে দুজন বিদেশি নাগরিকের হত্যা একটি চরম নিন্দনীয় ঘটনা।
এই দুই হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং একে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও অবকাশ নেই বলেও বিএনপি-র মহাসচিব মন্তব্য করেছেন।